‘শাকিল ভাই, নয়ন ডেড’ বলেই তারা দৌড়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়

অনলাইন ডেস্ক:

পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে ১৬ বছর বয়সী হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক নয়ন সিকদার। পুলিশ বলছে, অন্য একজনকে টার্গেট করে এসেছিল হামলাকারীরা। তাকে না পেয়ে নয়নকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে তারা।

নিহতের পরিবারের লোকজনের দাবি, মারা গেছে কিনা নিশ্চিত করতে হামলাকারীদের দু’জন হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিল। চিকিৎসক নয়নকে মৃত ঘোষণা করার পর তারা হাসপাতাল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

গত শুক্রবার রাতে শহরের বোয়ালিয়া খাল এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন নয়ন সিকদার। সে ওই এলাকার জলিল সিকদারের ছেলে। জলিল সিকদার শহরের একটি মার্কেটে নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করেন। তার তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় নয়ন স্থানীয় একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতো।

নিহতের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় মোবাইলে ফোন পেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বেরিয়ে যায় নয়ন। রাত আটটার দিকে জানতে পারেন তাকে কেউ ছুরিকাঘাত করে বোয়ালিয়া খাল এলাকায় বালুর স্তুপের উপর ফেলে রেখেছে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল আমিন (২২), জয় (১৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৮), জুয়েল (১৮), ফরহাদ (১৮) ও শাওন (১৮) নামে ছয়জনকে। তারা সবাই এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পূর্বপরিচিত ফরহাদ ও শাওন নামে দুই এজাহারনামীয় আসামির সাথে বোয়ালিয়া খাল এলাকায় মার্বেল খেলতে থাকে নয়ন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হত্যাকারীরা নয়নকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম মিয়া জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারীরা শামীম নামের একজনকে খোঁজ করতে এসে তাকে না পেয়ে নয়নকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

নিহতের দুই চাচা দুলাল ও মো. বাসু জানায়, তারা জানতে পেরেছেন শামীম নামের কাউকে খুজতে এসে তাদের ভাতিজা নয়নকে হত্যা করেছে আসামিরা। এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাকিল।

নিহতের মামা আলাউদ্দিন জানায়, সংবাদ পেয়ে তিনি শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে মোবাইল ফোনে এক যুবক কথা বলছিল। সাথে দাঁড়িয়ে ছিল আরেক যুবক। মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকা যুবকটি বলছিল, ‘শাকিল ভাই নয়ন ডেড’। এ কথা বলেই তারা দৌড়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। তার ধারণা শাকিলই ওই দুই যুবককে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল।

‘শাকিল ভাইদেশী টুয়েন্টিফোরনয়ন ডেড’ বলেই তারা দৌড়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়
Comments (0)
Add Comment