অনলাইন ডেস্ক:
ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। খুঁজে দেখছে ফিফা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থ পাচার বা অনিয়ম হচ্ছে কিনা। ৫ সদস্যের কমিটি পরিদর্শন করেছে ফুটবল ফেডারেশন ভবন। দেখা করেছে ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে।
বাফুফে ভবনে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে ফুটবল ভবনে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদ সচিব।
সৌজন্য কোনো সাক্ষাৎ নয়, ফুটবল উন্নয়নের কোনো আলোচনাও নয়। হাইকোর্টের আদেশ মেনে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। যারা অনুসন্ধান করবে বাফুফের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ।
তারই প্রথম সভা হয়েছে বাফুফে ভবনে। অনিয়মের কারণে ফিফার তদন্তে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। নিজস্ব তদন্ত কমিটি আর দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের পাশাপাশি শুরু হলো সরকারী তদন্ত।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে আমরা এখানে এসেছি, সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা আমাদের তদন্ত কমিটির সবাই মিলে এখানে আসলাম। এটা যেহেতু ঘটনাস্থল, আমরা এটা পরিদর্শন করলাম।
মন্ত্রাণালয়ের তিন আর এনএসসির দুইজনকে নিয়ে গড়া হয়েছে কমিটি। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির আহবায়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম। ছিলেন ক্রীড়া পরিষদ সচিব পরিমল সিংহও।
অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত হয়েছে। যেহেতু তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
কিন্তু কমিটির সভা ও অনুসন্ধানের বিষয়ে নিশ্চুপ বাফুফে। মুখে কুলুপ কর্তাদের। প্রথম পরিদর্শনে বাফুফের কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজ চেয়েছে তদন্ত কমিটি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রাণালয় অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, যেসকল বিষয়গুলোর জন্য বলেছে সরকার আমরা সে রিলেটেড কিছু কাগজপত্র চেয়েছি। আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। তারপর বিস্তারিত আপনাদের জানাবেন সরকার।
যা জমা দিতে নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয়েছে ফেডারেশনকে। এরপর শুরু হবে তদন্ত। তদন্তের আওতায় থাকবে ফুটবল ফেডারেশনকে দেয়া সরকারের ২০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দের হিসাবও। তবে আপাতত আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ফিফা ফান্ডের তদন্ত করবে না এই কমিটি।