অনলাইন ডেস্ক:
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামে ‘মা-বাবার দোয়া’ নামে চকচকে একটি বাড়ি রয়েছে। অথচ সেই বাড়িতে ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধ মা-বাবার। ছেলে ও তার স্ত্রী মারধর করে তিন বছর আগে তাড়িয়ে দেন ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে।
প্রায় তিন বছর তারা মেয়ে-জামাতার বাড়িতে থেকেছেন। এরপর ঠাঁই নেন নিজেদের গ্রামের মসজিদে। সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই মা-বাবাকে বাড়িতে তুলে দিয়েছেন। অভিযুক্ত ছেলের নাম নাসির উদ্দীন। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল (৭০)। মায়ের নাম রোজিনা বেগমও (৬০)।
আব্দুল জলিল বলেন, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কারণে-অকারণে ছেলে নাসির উদ্দীন তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে তিন বছর আগে তাড়িয়ে দেন। এত দিন মেয়ে-জামাতার বাড়িতে ছিলাম। মেয়ে-জামাতা বেকার হওয়ায় আমরা ফিরে এসে গত শনিবার বাড়িতে উঠতে চেয়েছিলাম কিন্তু ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে উঠতে দেননি, তাই মসজিদে ঠাঁই নিয়েছি।
জলিলের মেয়ে পারভীন আক্তার বলেন, ভাই নাসির মা-বাবাসহ আমাদেরকে অনেকবার মারধর করেছেন। জালিয়াতি করে বাবার কাছ থেকে বসতবাড়ি জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে মা-বাবাকে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে বাবা ও বোনেরা আমার নামে ১৮টি মামলা করেছেন, আমিও তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছি। আমি মা-বাবাকে বাড়িতে থাকতে দেব কিন্তু বোনদেরকে বাড়িতে জায়গা দেব না।
ইউএনও মো. মাহবুবুল হক জানতে পেরে সোমবার বিকেলে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে যান। তিনি ওই মা-বাবাকে মসজিদ থেকে ছেলের বাড়িতে উঠিয়ে দেন। এ সময় ছেলে নাসিরকে মঙ্গলবারের মধ্যে নেমে যেতে বলেন। বসতবাড়ির জমিটি যত দিন নাসিরের নামে রেকর্ড না হবে তত দিন তিনি এই বাড়িতে থাকতে পারবেন না বলে জানান ইউএনও।