নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চা ইনিংস খেলেই জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। এরআগে টি-২০তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ১৯৩।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে হার এবং হারের ধরণে সমালোচনার আগুনে পুড়ছিলেন মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকরা। দগ্ধ হচ্ছিলেন অন্তঃজ্বালায়। ব্যাটসম্যানরা পুড়ছিলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের বোলিং উত্তাতে তো বোলাররা পুড়ছিলেন প্রতিপক্ষের আগুনে ব্যাটিংয়ে। টাইগাররা সেই দগ্ধ শরীরে কী প্রলেপটাই না দিলেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে শুধু জয় পায়নি লাল সবুজের দল রেকর্ড করে জিতেছে। টি২০ তে নিজেদের সর্বোচ্চ রান যেমন করেছে তেমনি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতে বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছে।
শেষ ওভারে টাইগারদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। প্রথম বলে ২ রান নিলেন মুশফিক। পরের বলে বাউন্ডারি। কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। শেষ ৪ বলে তখন দরকার ৩ রান। কিন্তু তখন ২০১৬ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের স্মৃতিটা জ্বলে ওঠে। উচ্চবিলাসী শট খেলতে গিয়ে এমন অবস্থা থেকেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন শেষ তিনের প্রথম শিকারটা ছিলেন মুশফিক। এদিন আর সে পথে হাঁটেননি তিনি। পরের বলে দুই, এরপর সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আর তাতে নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানই ছিল যে ১৯৩। আর লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা আরও কম। ২০০৭ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৫ রানের লক্ষ্য পাড় করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১৯.৪ ওভারে ২১৫/৫ (তামিম ৪৭, লিটন ৪৩, সৌম্য ২৪, মুশফিক ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ২০, সাব্বির ০, মিরাজ ০*; চামিরা ১/৪৪, ধনঞ্জয়া ০/৩৬, প্রদিপ ২/৩৭, গুনাথিলাকা ০/২২, থিসারা পেরেরা ১/৩৬, জিবন মেন্ডিস ০/২৫, শানাকা ০/১২)।
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ২১৪/৬ (গুনাথিলাকা ২৬, কুশল মেন্ডিস ৫৭, কুশল পেরেরা ৭৪, থারাঙ্গা ৩২*, জিবন মেন্ডিস ৬*; তাসকিন ১/৪০, মোস্তাফিজ ৩/৪৮, রুবেল ০/৪৫, মিরাজ ০/৩১, অপু ০/২০, সৌম্য ০/১১, মাহমুদউল্লাহ ২/১৫)।
ফলাফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ : মুশফিকুর রহীম।