বৃহস্পতিবার রাজধানী আঙ্কারায় একটি হেলথ ইভেন্টে বক্তৃতাকালে এরদোগান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই ইঙ্গিত দেন।
বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ২০টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে বলে তুর্কি রাষ্ট্রের প্রধান তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘সিরিয়ায় কেন মার্কিন সামরিক ঘাঁটির প্রয়োজন রয়েছে- তা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে এবং ঘাঁটিগুলো রাশিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত করতেই নির্মাণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’ এই অঞ্চলে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরানের সামরিক বাহিনী অবস্থানের কারণে মার্কিন এই ঘাঁটিগুলো সর্বাত্মক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করে দেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সম্ভাব্য সব কিছুর জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকা উচিত।’
তিনি তুর্কি জনগণকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করা নিয়ে তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করলেও এর কোনো জবাব পাননি বলে তিনি জানান। ২০১৫ সালে তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগ্লু প্রথমবারের মতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাব্য প্রচেষ্টার কথা বলেছিলেন। সেই সময় আহমেদ দাভুতোগ্লু বলেছিলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাদুর্ভাবকে প্রতিরোধ করার জন্য সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন।’
সূত্র: ট্রেন্ড নিউজ এজেন্সি
ব্রিটেন সঙ্ঘাতের পথ বেছে নিয়েছে: রাশিয়া
একজন সাবেক রুশ গুপ্তচরের হত্যা প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাকে ‘অমার্জিত ও বিদ্বেষী’ পদক্ষেপ আখ্যায়িত করে মস্কো বলেছে, ব্রিটেন সঙ্ঘাতের পথ বেছে নিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করাসহ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে অন্যান্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাকে উসকানিমূলক হিসেবে দেখছে মস্কো। রাশিয়া অচিরেই এসব পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দেবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ব্রিটিশ সরকার আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ব্রিটিশ সরকার সাবেক রুশ গুপ্তচরের হত্যা প্রচেষ্টাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
ল্যাভরভ বলেন, কোনো শক্তসামর্থ্য প্রমাণ ছাড়াই লন্ডন সাবেক রুশ গুপ্তচর হত্যা প্রচেষ্টার জন্য মস্কোকে অভিযুক্ত করছে।
গত রোববার বিকেলে ব্রিটেনের সলসবারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বেঞ্চে ৬৬ বছর বয়সি সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার ৩৩ বছরের কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। রুশ গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন স্ক্রিপাল।
কিন্তু ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। পরে গুপ্তচর বিনিময় আইনের আওতায় তিনি মুক্তি পান এবং ব্রিটেনে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার অভিযোগ করছে, স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যা করতে চেয়েছিল রাশিয়া। এই অভিযোগে ২৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারসহ আরো কিছু রুশ বিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লন্ডন।