ওই তিনজন হলেন- মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সাইদা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসানের ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি। তারা কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় আলমুন নাহার অ্যানির স্বামী এফএইচ প্রিয়ক ও সন্তান তামারার প্রিয়ক মারা গেছে।
দেশে ফেরার পর বিকেল ৫টার দিকে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এ নিয়ে চারজন এখন বার্ন ইউনিটে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় আহত শেহরিন আহমেদকে। তিনিও বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, আহতদের বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মো. শাহজাহান কামাল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাদের খোঁজ খবর নেন। তারা আহতদের চিকিৎসায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশীসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ওই দিন দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে।