বিশ্বের ১০ জন উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বের (এমার্জিং গ্লোবাল ইয়াং লিডারস) মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে তানজিল ফেরদৌস। আগামী ২ মে ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং লিডারস’ হিসেবে তাদেরকে সম্মাননা জানাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, তৃতীয়বারের মতো এবারও বার্ষিক ভিত্তিতে ১০ জন পাচ্ছেন ‘ইমার্জিং ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’। শান্তি, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে চালিকাশক্তি ও বর্তমান সময়ের সম্ভাবনার ভিত্তিতে অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে বাছাই করেছে। প্রকাশ্য এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
এ বছর যারা এ পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন- ইরাকের সারা আবদুল্লাহ আবদুল রহমান, ইন্দোনেশিয়ার ডিওভিও আলফাত, তুরস্কের ইচে সিফটিসি, বাংলাদেশের তানজিল ফেরদৌস, লিথুয়ানিয়ার জিনা সেলিম হাসান হামু, পাকিস্তানের দানিয়া হাসান, নরওয়ের ন্যান্সি হার্জ, দক্ষিণ আফ্রিকার ইসাসিফিনকোসি মদিঙ্গি, পানামার হোসে রড্রিগুয়েজ ও তাজাকিস্তানের ফিরোজ ইয়োগবেকভ।
এর মধ্যে বাংলাদেশের তানজিল ফেরদৌসের বয়স ২৪ বছর। তিনি বাংলাদেশে যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও নারী অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তিনি ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ। এ সংগঠনের তিনি প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে তিনি যুব সমাজের উন্নয়ন, কয়েক শত যুবককে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় উজ্জীবিত করেছেন নানা রকম সফর কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি বিশ্বাস করেন, যদি যুব সমাজকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যায়, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ড কমে যাবে। তানজিল বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন।
রোহিঙ্গারা যাতে উগ্রপন্থি সহিংসতার শিকারে পরিণত না হন সে জন্য তাদেরকে সহায়তা করছেন। তার সহায়তায় শরণার্থী ৫০০ শিশুর জীবন রক্ষায় সহায়ক হয়েছে। এতে সহায়তা করেছে জাগো ফাউন্ডেশন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ব্যুরো তানজিল ফেরদৌসের বিষয়ে বলেছে, তিনি কিশোরী ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষমতায়নের মিশনে কাজ করেন। মানোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা ও তাদের মধ্য থেকে আগামীর নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালান। টেকসই সম্প্রীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুবসমাজের ইতিবাচক ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে পুরস্কৃত করবে।
তানজিল হোসেনসহ সম্মাননাপ্রাপ্ত দশ তরুণকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ২৯শে এপ্রিল থেকে ১২ই মে পর্যন্ত তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তারা উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই, যুবসমাজের ক্ষমতায়ন ও বিশ্বব্যাপী টেকসই সম্প্রীতি বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।