বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এবার স্বাধীনতা দিবসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ এবং মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) জারি করা সংশোধিত জাতীয় কর্মসূচিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশোধিত এই কর্মসূচি জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পাঠিয়েছে।
গত রবিবার (৮ মার্চ) বিদেশফেরত তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় আইইডিসিআর।
এরপর ১৭ মার্চের নির্ধারিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। এছাড়া জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংশোধিত কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সীমিত আকারে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।
এতে আরো বলা হয়, ‘সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ২৬ মার্চ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় সীমিত উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ স্থগিত থাকবে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ হবে কি না, সংশোধিত কর্মসূচি সেই বিষয়ে কিছু বলা নেই।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেও এবার কুচকাওয়াজ হবে না। আপাতত সকল অঞ্চলের কুচকাওয়াজ এবং সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার বিষয়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উপহার পাঠানো যেতে পারে।
বুধবার এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছিলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ আয়োজন করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানাবে।