তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য একটাই- সরকারের যে বিভিন্ন অপকর্মগুলো রয়েছে সেই অকর্মগুলোর সমালোচনা না করা যায়, সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই ভীতি সৃষ্টি করে গুম করতে পারে। এখানে এটাই হচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রচন্ডভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। তারা হচ্ছেন লিয়ন হক, মামুন পারভেজ তন্ময়, তৌহিদুল ইসলাম হাসিব, ফেরদৌস মজুমদার মাসুম ও সেলিম মিয়া। এই পাঁচজনকে তুলে নিয়ে গেছে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা, অনেক জায়গাতে পুলিশেরা তুলে নিয়ে গেছে। দল ও তাদের পরিবার থেকে খোঁজ করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করছে যে তারা এই সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না। যারা গুম হয়েছে তাদের পরিবার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছে, আমরাও উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছি।
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি নিখোঁজ হয় তাহলে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের। বিশেষ করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে যাওয়ার পরে- এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার। যিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়েছেন তারপর যদি সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দারা তাকে তুলে নিয়ে যায়। কোন দেশে বাস করছি আমরা?
আজকে বাস্তবতা হচ্ছে এটা- এই সরকার শুধু জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েনি তারা পুরোপুরিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। আজকে তারা রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে, আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাব, অবিলম্বে গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের খুঁজে বের করা হোক। যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হোক। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার এই যে নীলনকশা, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করবার তার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের জন্যে আবার সংগ্রাম করার আহ্বান জানাচ্ছি। আজকে রাজনীতি করার জন্য যদি মানুষকে গুম হয়ে যেতে হয়, ভিন্নমত পোষণ করার জন্য যদি গুম হতে হয় তাহলে এদেশে গণতন্ত্রের লেশ মাত্র নেই। বাস্তবতা হচ্ছে যে, এদেশে কোনো নির্বাচনই হয় না। এখন নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। জনগণের কোনো আস্থা নির্বাচনের প্রতি নেই।
ডেস্ক নিউজ..