চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বই বিতরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন। যে নেতার আহ্বানে বাঙালি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে। যেখানে মানুষ নিজের প্রাণটাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, সেই প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এমন খুব কম নেতাই আছেন, যারা মানুষকে এভাবে উদ্দীপ্ত করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তেমনি বিশ্ব ইতিহাসে সেরা নেতাদের একজন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য, স্বাধিকারের জন্য এবং পরে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী করার লক্ষ্যে প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধনের পর্যায়ে রয়েছে। সংশোধিত আইন আগামী পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হতে পারে। সংশোধিত আইন মোতাবেক সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির পাশাপাশি সংক্ষুব্ধ গণমাধ্যমকর্মীও প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। সংশোধিত আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিল আরো কল্যাণমুখী কাজ করতে পারবে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
ডেস্ক নিউজ..