শীতে যেমন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখির কলকাকলিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নান্দনিক সৌন্দর্য্যে মুখরিত হয়, তেমনি এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টকেও নগরীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটু উদ্যোগ, পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন। এই রিসোর্টে বিনিয়োগে বেসরকারি উদ্যোক্তারা আগ্রহী হলে এখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, পানি ওয়াইফাই জোনসহ আনুসাঙ্গিক সব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের সহযোগীতা করবে। তিনি আজ সকালে নগরীর ১নং ফতেয়াবাদ ওয়ার্ডস্থ ঠান্ডাছড়ি রিসোর্ট পরিদর্শনে যান। রিসোর্টে আমন্ত্রণ জানানো হয় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রধানদের। প্রতিদিনের অফিসের দাপ্তরিক কাজ ও দায়িত্বের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একটু অবকাশ যাপনে প্রশাসকের এই আয়োজনে উপস্থিত কর্পোরেশনসহ সরকারি সকল সেবাসংস্থার প্রধানগণ বেশ আনন্দিত ও মুগ্ধ হন। শীতের আগমনীর শুরুতে সুন্দর এই অনুষ্ঠানে ছিলো চিতই, পাঠি সাপটা,ভাপা পিঠা,পপ কর্ন ও গরম কফির পানের আয়োজন। ছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল হরেক রকম মুখরোচক খাবারের সমন্বয়ে দুপুরের ভোজের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, কর্পোরেশনের এই ঠান্ডাছড়ি রিসোর্টে হলো শহরের যান্ত্রিক জীবমুক্ত একখ- প্রাণের ছোঁয়া। আমার ইচ্ছা ছিল চসিকের ও সকল সেবাসংস্থার প্রধানদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের। কিন্তু সময় স্বল্পতা দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠলোনা। তাই তড়িৎ সিদ্ধান্তে এই আয়োজন। আয়োজনে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে প্রশাসক আরো বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। এই মাস একদিকে যেমন আনন্দের, অন্যদিকে রয়েছে স্বজন ও প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা। এই বিজয়ের মাসে বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী দিনের সুন্দর স্বনির্ভর আধুনিক ও ক্ষুধামুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।