বাংলা একাডেমির শহিদ মুনির চৌধুরী সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গত ২৫ জানুয়ারি সোমবার একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। “বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০” ঘোষণা করেন ।
পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক-কবিরা হলেন- কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কবি ও উপ-উপচার্য (প্রশাসন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জন্ম ১৯৫৬ সালে জামালপুর। কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক জন্ম- ১৯৬৫ সালে সিরাজগঞ্জ। প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, গবেষক ও প্রাবন্ধিক, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান,বাংলা বিভাগ, এবং ডীন, কলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জন্ম-চট্টগ্রাম। অনুবাদে সুরেশ রঞ্জন বসাক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক ,অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান-ইংরেজী বিভাগ,মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট। জন্ম- ১৯৫২ সালে, চট্রগ্রাম। নাটকে রবিউল আলম,নাট্যকার ও মঞ্চ অভিনেতা, জন্ম- ১৯৪৬ সালে বগুড়া। শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার, পরিচালক, শিশু একাডেমি। জন্ম- ১৯৬৫ সালে, ময়মনসিং। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, সহকারী আটর্নি জেনারেল। জন্ম- ১৯৫৫ সালে, ঢাকা। বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে, অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজ্ঞান লেখক, হোমিওপ্যাথি গবেষক, পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ, বাংলা একাডেমি। জন্ম-চট্টগ্রাম।
আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ফেরদৌসী মজুমদার, টিভি ও মঞ্চ অভিনেত্রী। জন্ম-১৯৪৩, বরিশাল। ফোকলোর সাহিত্যে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান, লেখক, লোকসাহিত্য ও প্রত্নতাত্বিক গবেষক, যিনি ঐতিহাসিক নিদর্শন ওয়ারি ও বটেশ্বর আবিষ্কার করেন। জন্ম-১৯৩৯, নরসিংদী।
আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি–লেখকদের নাম ঘোষণা করে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি অথবা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য তিন লাখ টাকা।’
এ পর্যন্ত তিন শতাধিক লেখক এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।