চলতি সময়ে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত সময় পার করছে রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাকশিল্প। এই করোনারথম ধকল সামলে উঠতে শুরু করলেও দ্বিতীয় বারে সামলে উঠতে পারেনি এখনো। পোশাকশিল্পের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত লোকসানের কারণে তাদের ব্যবসা ছড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা চলছে। সেইসাথে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত ভালো পরিস্থিতির আশা দেখছেন না এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা টিকাদান কর্মসূচির সফলতা ও খুশির বার্তা যেমন এনেছে তেমনি পোশাকশিল্পে প্রণোদনার ব্যবস্থা ও জরুরি পদক্ষেপ পোশাকশিল্পকে গভীর খাত থেকে টেনে তুলতে পারে।
দেশে লকডাউন পরবর্তী সময়ে অনেক কারখানা চালু ছিল। জীবিকার তাগিদে ও চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় ফিরতে থাকেন শ্রমিকরা। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সব মহলে সমালোচনার শুরু হয়। পরে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আবার মে মাসে আবার সাধারণ ছুটি বাড়লেও এপ্রিলের শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে যায় বেশিরভাগ কারখানা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সব মিলিয়ে রফতানি কমেছে ৫৭৩ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পোশাক রফতানি কমে গেছে ৫৬০ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের, যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এক হাজার ৫৫৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ কম। চলতি বছরের প্রথমার্ধে তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৬২১ কোটি ডলার।
চিঠিতে তিনি প্রণোদন প্যাকেজের ঋণের সুদ অন্তত ছয় মাসের জন্য স্থগিত অথবা প্রণোদনা পরিশোধের মেয়াদ অন্তত আরও এক বছর বাড়ানোর দাবি জানান। এর আগে গত বছরের আগস্টে ফের প্রণোদনা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিজিএমইএ। চিঠি প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
পোশাক খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার পোশাক খাত নিয়ে অনেক আন্তরিক। আমরা কিছু পর্যায়ে কর্মচারীদের অনিয়মে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। করোনা মহামারির কারণে এখন ব্যবসায় কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পেলে এই সংকট থেকে উত্তরণ পেতে পারি।