ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আট সদস্যর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ফয়সাল আরেফিন দীপন জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ছিলেন।বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন। আজ সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় এ মামলায় উপরোক্ত আট আসামির মধ্যে প্রথম ছয়জনকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। আসামীদের দুইজন মামলার প্রথম থেকে পালাতক রয়েছে।
ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪); সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আ. সবুর (২৩); সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম (২৪); সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪); সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫); সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭); সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০); সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮); সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ঢাকা দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে খুন হন ফয়সাল আরেফিন দীপন। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।