আশার আলো জ্বালিয়ে লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ

প্রাণপণ চেষ্টায় ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য। দুজন মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। ১৩ রানে সৌম্যর বিদায়ে ভাঙ্গে এই পার্টনারশিপ।

তামিম ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে ফিরেছেন ব্রাথওয়েটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। নাজমুল শান্তকে ফেরান কর্ণওয়াল। দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলে শান্ত করেছেন ৫১ রান। মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।

লক্ষ্য ২৩১ রানের। ১৮৮ রানে টাইগারদের নবম উইকেট তুলে নেয়ার পর জয়ের পাল্লা অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে ক্যারিবীয়দের দিকে। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খেলাটা জমিয়ে তুললেন মেহেদি হাসান মিরাজ, শেষ উইকেটে তার সঙ্গী হলেন আবু জায়েদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ২৩১ রানের টার্গেট পূরণ করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ হলো লজ্জাজনক সিরিজ। তবে শেষ উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খেলাটা জমিয়ে তুললেন মেহেদি হাসান মিরাজ, সঙ্গী হলেন আবু জায়েদ।

৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলো সফরকারীরা। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ১১৭ রানে। আবু জায়েদ রাহী জোড়া আঘাত হানেন। আর তাইজুল ঘূর্ণি বলে একে একে ফেরান জারমেইন ব্ল্যাকউড, জশুয়া ডা সিলভা ও আলজারি জোসেফকে। চার উইকেট এই বাহাতি স্পিনারের। তিনটি নাঈম হাসানের।

এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো মুমিনুল হকের দল। ঘরের মাঠে প্রায় ৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। সবশেষ ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই এমন লজ্জায় পড়েছিল তারা।

মুমিনুল বাহিনীরা আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি, চলতি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিফটি করার আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু খুব কাছে গিয়েও সফল হতে পারেননি।

জয়ের জন্য যখন বাকি ১৮ রান, তখন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ৩১ রান করা মিরাজ, ২৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশও অলআউট হয়ে যায় ২১৩ রানে।

শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৩১ রান। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই লক্ষ্য ছোঁয়া সম্ভব হয়নি। ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

Comments (0)
Add Comment