শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এতে যুক্ত হয়েছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তুলে দেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে যেসব সূচক অর্জন করতে হয়, তার প্রত্যেকটি সূচকেই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা বা সঙ্কট এ তিন সূচকের ওপর ভর করেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় এক বছর পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । তবুও সরাসরি না, ভার্চুয়ালি। আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল প্রত্যয়নের সুসংবাদ দেয়ার জন্য।
বিশ্বের যেকোন দেশকেই এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি দিয়ে থাকে জাতিসংঘ। আর এ বিশাল পরীক্ষার মূল্যায়ন করে সিডিপি। পুরো প্রক্রিয়াটি করতে ছয় বছর সময় লাগে। ইআরডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা ও দেশের বিশিষ্টজন এবং সাংবাদিকগণ উপস্থিতি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সবার উপস্থিতিতে এই গৌরব অর্জনে দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল নাগরিক এবং উন্নয়ন সহযোগীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।