চট্টগ্রামে মশক নিধনের জন্য গেলো বছরের মে মাসে ১০ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড এবং ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ ক্রয় করে সিটি করপোরেশন। যাতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।
চট্টগ্রামে ওষুধেও কমছে না মশার বংশ বিস্তার। যে কোনো বছরের তুলনায় বহুগুণে বেড়েছে উপদ্রব। এ অবস্থায় ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মেয়র। ওষুধ কেনায় যাচাই-বাছাই না করাসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরা হয় কর্পোরেশনের নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও। তাই ভবিষ্যতে মশার ওষুধ কেনায় কীটতত্ত্ববিদের পরামর্শ নেয়ার কথা জানান সিটি মেয়র।
মশার ওষুধে শুধু নগরবাসী নয়, ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহে রয়েছে খোদ মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও। গেলো তিন বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসে, দরপত্র ও যাচাই বাছাই ছাড়াই কেনা হয় মশক নিধন ওষুধ। যদিও নিয়ম বহির্ভূত কোন ক্রয় করা হয়নি বলে জানান উপ প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
বারবার পরিষ্কার অভিযান এবং ওষুধ দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মশা। দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে, মেয়র বলেন, এবারও আরো ত্রিশ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড ও ৯০ হাজার লিটার এলডিইউ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন। মশার ওষুধ কেনায় কীটতত্ত্ববিদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হবে।